পোস্টগুলি

জুন, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

চর্যাপদ —বাংলা সাহিত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন

আবিষ্কার :  বাংলা ভাষার প্রাচীনতম গ্রন্থের নাম 'চর্যাপদ' বা 'চর্যাচর্যবিনিশ্চয়'। তালপাতায় লেখা এই বৃহৎ পুথিটির আবিষ্কারক মহামহোপাধ্যায় পন্ডিত হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয়। তিনি ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে নেপালে যান এবং সেখানকার রাজদরবারের গ্রন্থশালা থেকে খন্ডিত, কীটদষ্ট এই গ্রন্থটি আবিষ্কার করেন। এতে ছিল   ৪৬ টি সম্পূর্ণ পদ  এবং একটি আংশিক পদ।হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় নেপালের পুথি সংগ্রহশালা থেকে তিনটি দোঁহাগ্রন্থের সঙ্গে এই গ্রন্থটি আবিষ্কার করেন। এই গ্রন্থটির সঙ্গে টীকাকার মুনি দত্তের সংস্কৃত টীকা ছিল।   এই টীকার সাহায্যে পরবর্তী সময়ে রহস্যময় ভাষায় লেখা পদগুলির গূঢ়ার্থ উদ্ধার কিছুটা সহজ হয়েছিল।  চর্যাপদের মূল সংকলনের তিব্বতীতে অনুবাদ করেন শীলচারী। শীলচারী চর্যা ও মূল চর্যাকে সামনে রেখে মুনি দত্ত সংস্কৃততে ৫০ টি টীকা ব্যাখ্যা করেন । শাস্ত্রী মহাশয় নেপালে গিয়ে মুনিদত্তের টিকা ও মূল চর্যাকে নিয়ে আসেন।মূল গ্রন্থটি যথা সময়ে ফেরত দিয়ে দেন। (শীলচারী ও মুনি দত্ত বন্ধুভাবাপন্ন ব্যক্তি যারা নেপালের রাজদরবারের থাকতেন।) নামকরণ :  'বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ' থেকে মহাম...

বাউল শব্দের উৎপত্তি ও বাউল মতবাদ বা দর্শন_বাউল সাধনসংগীত বাউল গান

বাউল শব্দের উৎপত্তি ও বাউল দর্শন : সংস্কৃত 'বাতুল'(উন্মাদ, পাগল, ক্ষেপা, ছন্নছাড়া, উদাসী) শব্দ থেকে 'বাউল' শব্দের উৎপত্তি।  আরবি শব্দ  'আউল' এবং হিন্দি শব্দ 'বাউর' এর অর্থ 'বায়ু রোগ গ্রন্থ'। বায়ু অর্থাৎ স্নায়ুপ্রবাহ। কিন্তু বাউল সম্প্রদায়ের পরিচয় দিতে গিয়ে 'বিশ্বকোষ' -এ উল্লেখ করা হয়েছে "বাতুলের ন্যায় এই সম্প্রদায়ের লোকেরা ছিন্ন বস্ত্রখন্ড সংযোজিত করিয়া পরিধান করিয়া থাকে। বর্তমানে আমরা শখের যে পেশাদারী বাউল সম্প্রদায় দেখিতে পাই ; ইহা তাদের অনুকরণে গঠিত। ভজন, গীতিকালে নৃত্য ও বেশভূষা নিরীক্ষন ইহাদিগকে বাতুল বলিয়া অনুমিত হয়।" প্রসিদ্ধ বাউল গবেষক ক্ষতিমোহন সেন মহাশয় বাউলদের 'পাগল-পারা' ,  'বায়ুধর্মী' মানুষ বলে চিহ্নিত করেছেন।  তবে পোশাক-পরিচ্ছদ, জীবন-যাপন, আচার-আচরণ যতই বিচিত্র হোক না কেন এঁরা ভারতীয় ধর্মসাধনা সংস্কৃতির গভীর ঐতিহ্য সূত্রটি ধারণ করে আছে। বৈদিক ও অবৈদিক এবং লোকায়ত ভারতীয় ধর্মসংস্কৃতির অন্যতম প্রধান সাধনপন্থা 'সহজিয়া' বা 'সহজসাধনা' ; বাউলরা সেই সহজ সাধনপন্থার পথিক। বা...

'হাজার চুরাশির মা' ও মহাশ্বেতা দেবী

ছবি
'হাজার চুরাশির মা' হল ব়্যামন ম্যাগসাইসাই পুরস্কার বিজয়ী সাহিত্যিক মহাশ্বেতা দেবী রচিত বাংলা উপন্যাস। ১৯৭০ এর দশকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নকশাল আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত এই উপন্যাসটি ১৯৭৪ সালে প্রকাশিত হয়। ১৯৯৬ সালে তিনি এই উপন্যাসটির জন্য জ্ঞানপীঠ পুরস্কার লাভ করেন। কাহিনী সংক্ষেপ : 'হাজার চুরাশির মা' উপন্যাসের কাহিনী গড়ে উঠেছে ছেলে ব্রতী ও তার মা সুজাতা কে কেন্দ্র করে। উচ্চবিত্ত সমাজের স্বার্থ-সর্বস্ব ভোগকেন্দ্রিক জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণায় ব্রতী যোগ দিয়েছিল নকশাল বাড়ি আন্দোলনে। তার সহযোদ্ধারা অনেকেই এসেছিল উদ্বাস্তু পরিবার থেকে। রাষ্ট্রশাসন অতি সুকৌশলে গণ সন্ত্রাস জাগিয়ে অথবা বলা যায় তথাকথিত মাস্তানদের কাজে লাগিয়ে বীভৎস নির্মমভাবে হত্যা করেছিল এই যুবকদের অনেকেই। ব্রতী সেই নিহতদের মধ্যে একজন। মা সুজাতা ভিন্ন পরিবারের কেউ তার জন্য দুঃখ করেনি। বরং নিজেদের সামাজিক অবস্থানের যাতে আঘাত না লাগে তাই নিয়েই ব্যস্ত ছিল তার বাবা, দাদা। ব্রতীর মৃত্যু বার্ষিকীর দিনে সুজাতার স্মৃতিচারণের মধ্যে দিয়ে প্রায় পুরো কাহিনীটা বিবৃত। ব্রতীর স্মৃতি নিয়ে সুজাতা দুঃখে কাতর। সেই দিন তার...

আমার একলার রাজত্বে

আমার এই একলার রাজত্বে  এক রাশ বিষন্নতার সঙ্গে কোন এক দিন মারা যাব,  ইতিহাসও রাখবে না খোঁজ । দু'ফোটা অশ্রু নিয়ে চোখে  কেউ শেষ বিদায় জানাবেনা। না না চাই না আমি অমরত্ব,  ভালোবাসায় একটি প্রহর একান্তে থাকতে চাই তোমার সান্নিধ্যে।                ______

মোন কেমনের দিনে

মোন কেমনের দিনে! স্মৃতিগুলো সব ভীড় করে অন্ত্যমিলের মত এলোমলো সাজের বায়না নিয়ে। এই সব দিনে আমি কেমন বেমালুম ভুলে যাই  নাগরিক জীবন,বাকি থাকা ঋণ,চেনা উপত্যকা না-সারা বাতের মতো বারে মনের ব্যথা...                     __________               

অন্ত্যমিলহীন প্রেম

নিজেকে খুঁজতে গিয়ে দেখি, রাতের আঁধারকে দূরে ঠেলে নিয়ন আলোয় জলন্ত এই শহরে পুরোটা জুড়েই  শুধু তোমার বিচরণ।  অব্যক্ত আবেগ, জমানো কথা,সুপ্ত ইচ্ছে আর্তনাদ সবই বন্দি এক অদৃশ্য দেয়ালে,  দেয়াল ভাঙতে না পেরে রাতের আঁধারে নীরবে নিস্তবদ্ধে বন্দিরা আত্মহত্যা করে। থাক না অসমাপ্ত গল্প...  প্রহর শেষে অবসরে বসে কল্পনায় না হয় সম্পূর্ণ করে নেব,  তোমাকে নিয়ে কিংবা তোমাকে ছাড়াই।               ______________